Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

মানি লন্ডারিং (Money Laundering) এর প্রাথমিক ধারণা

    মাঝেমধ্যেই শুনা যায়, দূর্নীতির মাধ্যমে অনেক টাকার মালিক হল, মাঝেমধ্যে ব্যাংক একাউন্ট "ফ্রিজ" করলেও সেখান থেকে আর কতটাকা রক্ষা ...

 

মানি লন্ডারিং (Money Laundering) এর প্রাথমিক ধারণা

 

মাঝেমধ্যেই শুনা যায়, দূর্নীতির মাধ্যমে অনেক টাকার মালিক হল, মাঝেমধ্যে ব্যাংক একাউন্ট "ফ্রিজ" করলেও সেখান থেকে আর কতটাকা রক্ষা করা যায়? 

লোন নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না, ব্যাংক যাকে "Bad Loan" বলে শেষ, এই ব্যাপার গুলোকে কি বলে?   

মানি লন্ডারিং!  

 

মানি লন্ডারিং (বাংলায় বলা যায়  অর্থশোধন)  একটি অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রম।  

এটি এমন একটি  প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে সেই সম্পদের আংশিক বা পূর্ণ অংশ রুপান্তর বা এমন কোন বৈধ জায়গায় বিনিয়োগ করা হয় (যেমন শেয়ার বাজার, নানান বিজনেস ফার্ম) যাতে করে সেই বিনিয়োগকৃত সম্পদ থেকে অর্জিত আয় (বিক্রিত মূল্য বা লভ্যাংশ)  বৈধ বলে মনে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকও  মানি লন্ডারিংয়ে সক্রিয় সহায়তা করে থাকতে পারে। 

মানি লন্ডারিং একটি ফৌজদারী অপরাধ। বিভিন্ন ধারায় ৪-১২ বছরের জেল হতে পারে।

মানি লন্ডারিংয়ে তারা চায় অর্থের উৎসকে লুকাতে। তাই তারা এক খাতে টাকা ইনভেস্ট করে সেখান থেকে অন্য খাতে,  সেখান থেকে অন্য এভাবে এত এত বার পরিবর্তন করা হয় যে, আইনের লোকের পক্ষে প্রকৃত উৎস খুজে পাওয়া সম্ভব হয় না।  এমন করার কারণ হল, অবৈধভাবে আয় করা অর্থ সে খরচ করতে পারে না আইনে ধরা পড়ার ভয়ে। তাই টাকাকে সরাসরি ব্যয় না করে নানান খাত ঘুরিয়ে সেটাকে বৈধ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করে।   

 

মানি লন্ডারিং কেন করে?  

 

মানি লন্ডারিং-এর উদ্দেশ্য  প্রধানত দু'টি।  

১। যদি অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আয় হয়ে থাকে তবে সে আয়ের উৎস গোপন করা।  

২। আয়কর ফাঁকি দেয়া।  

 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মানি লন্ডারিং কিভাবে করে? 

 

এর প্রক্রিয়া গুলো কি? 

আমরা ধাপে ধাপে জানার চেষ্টা করব:  

১। সংযোজন বা প্লেসমেন্ট  

এ ধাপে অবৈধ উৎস হতে প্রাপ্ত টাকা প্রথম বারের মত কোন অর্থব্যবস্থায় প্রবেশ করানো হয়। যেমন- প্রথম বারের মত যখন চুরি, ডাকাতি, চোরাচালান বা ঘুষের অর্থ যখন একটি ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয।  অবৈধ  অর্থ দিয়ে জমি , বাড়ি বা গাড়ি ক্রয়, শেয়ার ক্রয় ইত্যাদির মাধ্যমেও প্রথমবারের মত অবৈধ অর্থ, অর্থ ব্যাবস্থায় প্রবেশ করানো হয়।    

২। স্তরিকরন বা লেয়ারিং 

 এটি দ্বিতীয় প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় সংযোজনকৃত অর্থের উৎস গোপন করার জন্যে পর্যায়ক্রমে জটিল লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্তরে সরানো হয়। যেমন হতে পারে একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে অর্থ পাঠানো, বিদেশে অর্থ প্রেরণ, ট্রাভেলার্স চেকে রুপান্তর, একটি ব্যাংক হিসাব থেকে অন্যান্য শাখায় বিভিন্ন নামে অর্থের স্থানান্তর বা জমা দেওয়া।  

৩। পূনর্বহাল বা ইন্টিগ্রেশন 

 আগের ধাপ সফল হলে পরবর্তীতে অবৈধ অর্থ এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যাতে করে মনে হয় এই টাকা বৈধ পন্থায় উপার্জিত। যেমন ব্যবসায় লাভবান হয়েছেন! এটা বৈধ। 

 

এভাবেই অবৈধ টাকাকে বৈধ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এটা দেশ ও অর্থনীতির জন্যে খুবই খারাপ। 

No comments