Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহার এবং ভবিষ্যৎ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বৃদ্ধি

  আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকার স্টেপ ছিল আত্মঘাতী ও পলিটিকাল মিস্টেক। মূলত ট্রাম্প নীতিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করার ইশতিহার দিয়ে বাইডেন চেয়েছিল এক...


 

আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকার স্টেপ ছিল আত্মঘাতী ও পলিটিকাল মিস্টেক। মূলত ট্রাম্প নীতিকে পুরোপুরি পরিবর্তন করার ইশতিহার দিয়ে বাইডেন চেয়েছিল একটা লিবারেল সিচুয়েশন ক্রিয়েট করে দেশের রাজনীতিতে সুবিধা পেতে।  যেমন জামাল খশেগি হত্যাকাণ্ডের জন্যে সৌদি যুবরাজের বিচার, আফগানিস্তানের সৈন্য প্রত্যাহার, তাইওয়ানকে সরাসরি সহায়তা দেওয়া,  ট্রাম্প ন্যাটোর বরাদ্ধ কমানোর বিরুদ্ধে বাইডেনের ছিল ন্যাটো সম্প্রসারণ ও বরাদ্ধ বৃদ্ধি ইত্যাদি।  

 

মূলত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয় লাভের জন্যে সবটাই দিয়েছিল বাইডেন, তবুও খুব ক্লোজ কলে জিতে।  

 

সে যাক, ডোমেস্টিক নির্বাচনে জিতে গেলেও বাইডেন আমেরিকাকে এবং বিশ্বকে বড়সড় ঝামেলায়ই ফেলে দিয়েছেন।  

 

যেমন: 

১। নির্বাচনে জিতার সাথে সাথেই সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। এতে সৌদি নাখোশ হয়।  পরে অবশ্য বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় বাইডেন প্রশাসন।  কিন্তু সম্পর্কের ফাটল ধরা ততদিনে শুরু হয়ে যায়!  এরপরেই দেখা যায় সৌদি চীন রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে,  চীনের প্রেসিডেন্টের সৌদি সফর এবং ইরান-সৌদি সমঝোতা।  যা আমেরিকার সাম্প্রতিক সময়ে বড় ডিপ্লোম্যাটিক পরাজয়।  

 

২। ন্যাটো আগ্রাসী হয়, অবৈধভাবে সম্প্রসারণ নীতি নেয় যাতে শুরু হয় ইউক্রেন যুদ্ধ। তাও কভিডের পর পর। এতে পুরো বিশ্বের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পৃথিবী মাল্টিপোলার হয়ে পড়ে। আমেরিকার একেক কর্তৃত্ব কমে।  

আফ্রিকান দেশ গুলো রাশিয়া মুখী হয়, ভারত আমেরিকাকে পাত্তা দিচ্ছে না, চীন বিশ্ববাজার প্রায় দখল করে নিয়েছে, আসিয়ান আমেরিকার ছায়া থেকে বের হয়ে RCEP গঠন করে, কোয়ার্ডের চেয়ে এখন বেশি ফেমাস BRICS আরো কত কী!  

তুরস্ক অর্থনৈতিক ভাবে একটু দাঁড়াতে পারলে আমেরিকার হারানোর পাল্লা আরো বড় হবে।  

 

৩। তাইওয়ান ইস্যুতে আমেরিকার অবস্থান পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যৎ যুদ্ধের ঝুঁকি বেড়েছে।  

 

৪। আফগানিস্তানের সৈন্য প্রত্যাহারের পর তালেবানকে একদম লাগাম ছেড়ে দেওয়া আমেরিকার আরেকটা পলিটিক্যাল মিস্টেক।  

কথিত আছে আমেরিকার ত্যাগের পর আফগানিস্তানের বৈশ্বিক অবস্থান পরিচালনার জন্যে চীনের একটা দল আফগানিস্তানে অবস্থান করছে!  

আফগানিস্তানে চীনের বিনিয়োগ প্রায় সবচেয়ে বেশি!   মোট কথা আফগানিস্তান এখন চীনের একটা স্যাটেলাইট স্টেটে পরিণত হয়েছে।  

ওদিকে পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক ভাল না!   বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার টানাপোড়ন চলছে!   ভারত আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা পাত্তা না দিয়ে রাশিয়ার তেল কিনছে, মিয়ানমার এখন চীনের আয়ত্তে, আসিয়ান দেশ গুলো চীনের নেতৃত্বে বিজনেস করছে!  

এবার আপনি ম্যাপটা খুলে দেখেন:  

মধ্যপ্রাচ্য লিড দিচ্ছে সৌদি, যে এখন প্রায় চীন পন্থি, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, আসিয়ান ১০টা রাষ্ট্র, উপরে উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া!  পুরো এশিয়াই একটা বলয়ে পরিণত হচ্ছে!  

আফ্রিয়ান দেশ গুলো প্রায় সবগুলোর রাশিয়া মুখি, ব্রাজিলের জন্যে দ:আমেরিকা আমেরিকার কন্ট্রোলের বাইরে!  

মোটামুটি বলা যায় বাইডেনের নেতৃত্বে আমেরিকার যা-তা অবস্থা, যা ট্রাম্পের সময়ে হওয়ার সম্ভাবনা ছিল! ফলে এখন আমেরিকার সামনে একটাই পথ, যুদ্ধ! যুদ্ধ শুরু হবে দেশে দেশে।  আগের পোস্টে বলেছিলাম,  এখন বিশ্বে আঞ্চলিক অনেক জোটের চেয়ে মহাদেশ ভিত্তিক জোট বাড়বে, এটা বেশি দূরে নয়, কয়েক দশকেই দেখতে পারবেন।

No comments