Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE
Thursday, May 29

Pages

Recent Writings

ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট - রাফিউ আহমেদ

   সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা ও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা-নেয়ার জন্য চারটি ট্রান্সশিপমেন্ট রুট অনুমোদন করেছে বাং...

  

সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা ও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা-নেয়ার জন্য চারটি ট্রান্সশিপমেন্ট রুট অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সরকার।  

এগুলো হলো, চট্টগ্রাম বন্দর-আখাউড়া-আগরতলা, মংলা বন্দর-আখাউড়া-আগরতলা, চট্টগ্রাম-বিবিরবাজার-শ্রিমান্তপুর এবং মংলা বন্দর-বিবিরবাজার-শ্রিমান্তপুর।  

 

কিন্তু এই ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যাপারটা কী?  

 

ট্রান্সশিপমেন্ট এর আগে আমরা ট্রানজিট নিয়ে জানি। 

যখন একটা দেশ অন্য দেশের মধ্য দিয়ে ৩য় দেশে পণ্য পরিবহন করে তখন তাকে ট্রানজিট বলে। 

যেমন: ভারত  মিয়ানমারে পণ্য পৌঁছানোর জন্যে যদি বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে; অর্থাৎ পশ্চিম বঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশ ঢুকে চট্টগ্রাম বিভাগ দিয়ে মায়ানমারে পণ্য পরিবহন করে তাহলে সেটাই ট্রানজিট।   

 

তবে শর্ত থাকে যে, 

১। এখানে তিনটা দেশ যুক্ত থাকবে। যেমন ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার। 

২। ভারতের পণ্য পরিবহন সিস্টেম ব্যবহৃত হবে; অর্থাৎ বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের ট্রাক ও ভারতের ড্রাইভার বাংলাদেশের উপর দিয়ে পণ্য নিয়ে যাবেন। 

৩। 'চালক/সহকারী' বিশ্রাম ও অন্যান্য সুবিধা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পাবেন। 

৪। ট্রানজিট এর জন্যে কোন চার্জ করা যাবে না, তবে নিরাপত্তা প্রদান, রাস্তা মেরামত সহ নানান কাজে মাশুল নেওয়া যাবে। 

৫। ইত্যাদি।   

 

এবার আসি ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে। 

 

ট্রান্সশিপমেন্ট অনেকটা ট্রানজিটের মতই, তবে এখানের একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য হচ্ছে: 

- ট্রান্সশিপমেন্ট এর বেলায় যে দেশের উপর দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হবে সে দেশের যানবাহন ব্যবহার করা হয়।  

উদাহরণ: ধরি ভারত থেকে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহন করা হবে বাংলাদেশের উপর দিয়ে।   

 



 

#মেথড: ট্রান্সশিপমেন্ট  

ধাপ-০১: ভারত পণ্য আনবে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত।  

ধাপ-০২: এরপর সে পণ্য বাংলাদেশের ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে কুমিল্লার সীমান্তে। 

ধাপ-০৩: প্রোডাক্ট নামিয়ে আবার ভারতের ট্রাকে উঠানো হয়।   

অর্থাৎ বাংলাদেশে ভারতের যানবাহন বা ড্রাইভার ঢুকবে না। 

 ট্রান্সশিপমেন্টের লাভ: 

১। দেশের যানবাহন ব্যবহারের ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। 

২। ব্যবসা সম্প্রসারণ হয়। 

৩। ড্রাইভার/সহকারী পরিবহনের সময় বিশ্রাম নিবে, খাওয়াদাওয়া করবে। তাই পরিবহন রুটে দোকানপাট বসবে, মানুষের আয় বাড়বে।

৪। ভারতীয় জনগণ না আসায় স্বাস্থ্যগত সহ অন্যান্য ঝুঁকি কমবে। 

৫। রাস্তাঘাট উন্নত হবে, নাগরিক সুবিধা বাড়বে। 

৬। ইত্যাদি

No comments