সেদিন পাশে,ঠিক পাশেই একজন দেবী বসেছিল। ঘন লম্বা চুল,টানা টানা চোখ, সে চোখে কিসের যেন একটা মায়া ছিল, আবেগ ছিল, শাসন করার রাগও ছিল। ...
সেদিন পাশে,ঠিক পাশেই একজন দেবী বসেছিল।
ঘন লম্বা চুল,টানা টানা চোখ,
সে চোখে কিসের যেন একটা মায়া ছিল,
আবেগ ছিল, শাসন করার রাগও ছিল।
দেবীর ঠিক পাশে বসেছিলাম বলেই,
সূর্য, চন্দ্র, সমুদ্র, আকাশ থতমত খেয়ে আমাকেও সম্মান করতে লাগলো।
রোদ ছিল না, আবার আলোর অভাব ও ছিল না,
চাঁদটাও ছিল "স্ট্যান্ডবাই", সূর্যটা টুপ করে পরে গেলেই রূপালী আলোয় ভরিয়ে দিবে ধরা!
সমুদ্র শান্ত ছিল, আকাশেও কোন বৈরিতা ছিল না।
চারপাশ একদম শান্ত আর ছিমছাম ছিল,
তবে প্রাণের কমতি ছিল না!
প্রজাপতি গুলো উড়ছিল,
এদিক সেদিক চোখ গেলেই দেখা মিলে জবা,বকুল আর শিউলির!
চড়ুই শালিক দোয়েলের কি উচ্ছ্বাস!
আমিও মনে বোধহয় তখন নিজেকে রক্ত মাংসের মানুষ মনে করিনি,
ভেবেছিলাম আমিও হয়ত তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দেব যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
ভাসিয়ে দেব সব জরা, রোগ শোক অমাবস্যা!
ঠিক ভুলবশতই আমি ভেবেছিলাম,
" এ শুধু আমার দেবী! "
আমার "একান্ত ব্যক্তিগত দেবী",
কেউ পূজো দিবে না, কারো অধিকার থাকবে না,
সুদূর সীমানা থেকে কেউ যখনতখন চেয়ে বসবে না!
"এ দেবী আমার, আমার ব্যক্তিগত দেবী।"
তারপর সকল কবিতারা বিদায় নিল,
শব্দ গুলো আমাকে দেখে বিদ্রুপের হাসাহাসি শুরু করলো,
আমিও মানসম্মানের কথা ভেবে দেখেও না দেখার ভান করলাম,
তারপর কিঞ্চিৎ বড়বাবু ভাব নিয়ে গলা ছেড়ে রহমতকে বললাম," এই ব্যাটা রহমত, একটা সিগারেট দে তো!"
তারপর কেটে গেছে সতের হাজার বছর,
দু চারটা চুলে পাঁক ধরেছে বটে,
এখনো সব ঠিকঠাকই আছে,
বয়স বেড়েছে, ছেলেমানুষীটাও কমেছে বেশ,
সিগারেটের ব্রান্ডটাও বদলেছে।
অনেক অভিজ্ঞতাও হয়েছে,
"এখানে একান্ত ব্যক্তিগত বলতে কিছু নেই"
কিংবা নেই কোন ব্যক্তিগত দেবীও!
❤
ReplyDelete