মিনিট পঞ্চাশ হাটার পর হঠাৎ সামনে একটা গাড়ি, কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে দেখি লাশকাটা ঘরের পাশে ফ্রিজারে শুয়ে আছি, তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবটা তখনো ক...
মিনিট পঞ্চাশ হাটার পর হঠাৎ সামনে একটা গাড়ি,
কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে দেখি লাশকাটা ঘরের পাশে ফ্রিজারে শুয়ে আছি,
তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবটা তখনো কাটেনি, শীত শীত লাগছে।
আমি এখন আছি ফ্রিজারের একদম উপরের খোপ টায়,
আমার লাশটার একটা মূল্য আছে, আমাকে চাপা দেওয়া গাড়িটা বিএমডাব্লিও।
শীত শীত, মার্লবরোটা জামালখানেই পরে আছে হয়ত,
এখনো হয়ত জ্বলছে,
কতক্ষণ ধরে শুয়ে আছি বুঝা যাচ্ছে না,
ফ্রিজারে ঘড়ি নেই।।
নিজেকে হালকা হালকা লাগছে, চাইলেই উঠে জামালখান গিয়ে মার্লবরোটার খোঁজ করা যায়,
মহসিন কলেজের হোস্টেল গেটের পাশেই,
জ্বল জ্বল করা নানান রঙের লাইটে সাজানো রেস্ট্রুরেন্ট টার দিকে প্রেমিকা কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল,
সদ্য বাইশ পেরনো প্রেমিক একটু বোকাটে চেহারায় তার হাতটা ধরে রাখে,
মেয়েটা বুঝে যায়, আচ্ছা,অনুভূতি গুলো কি প্রবাহিত হয়?
উঠে মেয়েটাকে খোঁজাখুঁজি করা যায়,
পেলে জিজ্ঞেস করা যাবে,ওটাই কি ভালোবাসা ছিল?
পাশে টুংটাং দা কাচির শব্দ হচ্ছে, হয়ত কিছুকাল পর আমার ডাক আসবে,
হঠাৎ উষ্ণ ভাব!
তোমার অস্তিত্ব আমি ঠিকি টের পাই!
তুমি না আসলেও পারতে,আমি ঠিকি তোমার কাছে যেতাম,
মিনিট পঞ্চাশেক তোমার সাথে কথা না বলে কিভাবে বেঁচে আছি সেটাই ভাবছি!!
তুমি এসে না ছুঁয়া পর্যন্ত না হয় লাশ হয়ে ফ্রিজারেই পরে থাকি।
No comments