১৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে পুতিনের বিরুদ্ধে ICC এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছে। তবে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং এবং বিপদজনক । কেন ইন্টারেস্টিং ও বিপদজনক ...
১৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে পুতিনের বিরুদ্ধে ICC এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছে।
তবে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং এবং বিপদজনক । কেন ইন্টারেস্টিং ও বিপদজনক সেটা একটু বলি:
- আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে আমেরিকা তাদের বন্ধু রাষ্ট্রদের খুব একটা 'নিয়ন্ত্রণ' করতে পারছে না। পিয়ার প্রেশারে পরে Demand on Situation এ স্টেপ নিচ্ছে। যেমনটা নিয়েছিল চীনের বেলুন ইস্যু নিয়ে। আমেরিকার প্রশাসন আগে জানলেও খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেখায় নাই, পরে যখন সাধারণ জনগণ ক্ষেপে যায়, প্রশাসন সম্ভবত F-16 দিয়ে শ্যুট ডাউন করে, মিসাইলের ভ্যালুই কয়েক মিলিয়ন!
- পশ্চিমারা তাদের সকল ধরণের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাচ্ছে। কারণ এই যুদ্ধে আমেরিকা হেরে গেলে পরবর্তী বিশ্ব নেতৃত্ব দিবে চীন ও রাশিয়া। আর ক্ষমতাবান হবে মুসলিম বিশ্ব। এটা অনেকটা নাইটমেয়ার! Clash of Civilization বইটা পড়তে পারেন এ ব্যাপারে ক্লিয়ার ধারণা পাবেন।
- প্রতিষ্ঠান গুলার গুরুত্ব হ্রাস পাবে। UN সহ নানান আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গুলো আসলে সেভাবে সফল না। তারা মোটামুটি গরীব দেশে কিছু চ্যারিটি করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছে না। ধীরে ধীরে এসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব আরো হ্রাস পাবে এবং যদি বড় যুদ্ধ শুরু না হয়, তবে আঞ্চলিক সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব আঞ্চলিকতায় ভাগ হয়ে যাবে।
EU এর মত ASEAN, AU, SARRC ইত্যাদিতে ফ্রি মুভমেন্ট, সিংগেল কারেন্সি শুরু হবে। ধীরে ধীরে বর্ডার কমে গিয়ে দেশের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে Borderless Country ধারণা জনপ্রিয় হবে।
- North Korea এর মত রাষ্ট্র গুলো আরো শক্তিশালী হয়ে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় প্রবেশের সুযোগ পাবে।
- ইয়েমেন যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধ, আফগানিস্তান যুদ্ধ , সিরিয়া হামলা, ফিলিস্তিনের উপর হামলা এসব আবার আলোচনায় আসবে। আর এসব আলোচনায় আসলে আমেরিকা ও তার মিত্ররাই দিনশেষে প্রশ্নের মুখে পড়বে।
এই সিদ্ধান্ত ব্যাক ফায়ার করার সম্ভাবনাই বেশি। এটা সামরিক বা বৈশ্বিক ব্যবস্থা, যে কোনটায়ই হোক না কেন!
No comments