Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

সৌদি-ইরান চুক্তি: চীনের প্রয়াস ও বৈশ্বিক অস্থিরতার সম্ভাবনা

    চীন যুদ্ধ বন্ধ করে ফেলতে পারলে এটা USA এর জন্যে একটা বড় বিপর্যয়ই হবে।  ইতোমধ্যে ইরান সৌদি ডিল নিয়ে আমেরিকা যথেষ্ট বিব্রত, তারা এটা বুঝাত...

 


 

চীন যুদ্ধ বন্ধ করে ফেলতে পারলে এটা USA এর জন্যে একটা বড় বিপর্যয়ই হবে।  ইতোমধ্যে ইরান সৌদি ডিল নিয়ে আমেরিকা যথেষ্ট বিব্রত, তারা এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে, সৌদি সময়ে সময়ে তাদের চুক্তির ব্যাপারে ইনফর্ম করেছে। যদিও এটাকে কেউ খুব একটা কানে নেইনি।   চীন ঘটা করে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি চুক্তির যে এজেন্ডা ও প্রিন্সিপাল প্রকাশ করে, এটা মুলত ছিল একটা আইওয়াশ।  

তারা মুলত USA সহ পশ্চিমা বিশ্বকে একটা ভিন্ন এজেন্ডায় ব্যস্ত রেখে ইরান-সৌদি ডিলের কাজ এগিয়ে নিয়েছে।  আমার কাছে এটা উইড্রো উইলসন এর ১৪ প্রিন্সিপালের ১ম প্রিন্সিপালের ফিলোসফিক্যাল ভায়োলেশন মনে হয়েছে। সে যাক, এটা নিয়ে পরে বিস্তর আলোচনা করা যাবে।   

 

বর্তমান ও নিকট ভবিষ্যতের জন্যে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের চেয়ে ইরান-সৌদি ডিলটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।    

এই চুক্তি পুরো ওয়ার্ল্ড অর্ডার শিফট করে ফেলতে পারে বর্তমান নড়বড়ে বৈশ্বিক অবস্থায়।  আবার কিছু নাও হতে পারে।  তবে যদি এমন হয় যে, ইরান সৌদি আসলেই চাচ্ছে সম্পর্ক উন্নয়নে, তখন ইয়েমেন যুদ্ধ থেমে যাবে। এরপর হয়ত ICC বা USA গণহত্যার নানান ফিরিস্তি টেনে সৌদিকে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করবে, তবে কি আর হবে।   

ওদিকে আবার বাশার এখন UAE সফর করছেন, মাত্রই রাশিয়া সফর শেষ করে বিশ্রামও নেন নাই ভাল করে।  পুরো GULF States গুলো যদি ইরান সহ আগায়, UAE এর সাথে সৌদির অল্পস্বল্প মনমালিন্য মুছে যাবে।  তখন এখানে তুরস্কেরও যুক্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এখানে তুরস্ক যুক্ত হলে পুরো পাওয়ার অফ ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাবে।   

তখনই সম্ভবত ইসরায়েল কোন বিদঘুটে স্টেপ নিবে, সেটা হামলা বা কিছু। তবে মাত্রই আব্রাহাম একর্ডের পর ব্যাপারটা জটিল হবে।  

সে যাক, ইরান - তুর্কি  - সৌদি এবং অন্যান্য মিডলইস্টে দেশ মোটামুটি এক হওয়ার মত নাইটমেয়ার সম্ভবত USA কল্পনাও করবে না।   এখানে সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পরতে পারে ফিলিস্তিন।

 

যদি এভাবেই আগায়,  

তাহলে USA তাইওয়ানকে উস্কে দিতে চাইবে, তখন চীন হয়ত আপাতত ঝামেলায় যেতে চাইবে না, আর একান্তই যদি জড়ায়, গোয়ের্নিকার মত অবস্থা হওয়ার সম্ভবনা প্রবল। ইউক্রেন রাশিয়া যেভাবে যুদ্ধ হচ্ছে, চীন তাইওয়ান কিন্তু সেভাবে হবে না, এখানে জিওগ্রাফিক ফ্যাক্টর সহ আরো কিছু ব্যাপার আছে।   

 

কভিড পরবর্তী সময়ে মধ্যবিত্ত দেশগুলোর সাথে চীনের সম্পর্ক ভাল হয়েছে, এখানে রাশিয়াও যুক্ত আছে।  এক্ষেত্রে একটা বড় শেডো সংগঠন দাঁড়াতে পারে, যার টপ নেতৃত্বে থাকবে চীন, সেকেন্ড লীডে রাশিয়া এবং এরপর অন্যান্যরা। যদি এটাই হয় তাহলে ওরাই বিশ্বের জ্বালানী ও খাদ্যের প্রায় পুরোটার যোগান দিবে।

 

আমেরিকা এসব না ঘটার জন্যে ইউক্রেনকে প্রেশারে রাখবে চুক্তিতে না যেতে, তাইওয়ান সহ দ্বিপাক্ষিক সমস্যার বিষয় গুলো আরো প্রকট করবে।  

 

বিশ্বে কিন্তু এখন সমস্যা অনেক কম।  শুধু ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, মাঝেমধ্যে ফিলিস্তিন ক্রাইসিস ছাড়া তেমন সমস্যা চোখে পড়ে না।  

 

এখানে যদি তাইওয়ান দিয়ে চীনকে, 

ইউক্রেন দিয়ে রাশিয়াকে, 

গ্রীস দিয়ে তুরস্ককে,  

ওদিকে আর্মেনিয়া আজারবাইজান সমস্যা আবার টেনে এনে, 

ইসরাইলকে দিয়ে ফিলিস্তিনের উপর সহ কয়েকটা মাইনর দেশে হামলা করাতে পারলে কিন্তু সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে।

 

এভাবেই শান্তির নাম যুদ্ধ বাঁধিয়ে ব্যবসা আর নেতৃত্ব পাঁকাপোক্ত করা হয়। 


No comments