বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরের কিছু বৈশ্বিক ঘটনা: - রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ - চীন তাইওয়ান বৈরিতা বৃদ্ধি - চীনের মধ্যস্ততায় ইরান - সৌদি চুক্তি - বাশ...
বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরের কিছু বৈশ্বিক ঘটনা:
- রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ
- চীন তাইওয়ান বৈরিতা বৃদ্ধি
- চীনের মধ্যস্ততায় ইরান - সৌদি চুক্তি
- বাশারের রাশিয়া ভ্রমণ এবং সিরিয়ায় মিলিটারি বেইজ গঠনের আমন্ত্রণ ও অন্যান্য
একটা প্রচলিত মিথ আছে,
যখনি আমেরিকার অর্থনীতি কিঞ্চিৎ Down Size হয়, তখনি বিশ্বে কোন না কোন যুদ্ধ শুরু হয়!
কভিড পরবর্তী সময়ে আমেরিকা যথেষ্ট ঝামেলায় পরে,
এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে পর কার্যত আমেরিকার যুদ্ধক্ষেত্রে প্রেজেন্স কমে যাওয়ার পর পরই ইউক্রেনকে উস্কানি দেওয়া শুরু। যদি রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে যায় তারপরের প্রেক্ষাপটও প্রস্তুত করে রেখেছে, তখন তাইওয়ানকে উস্কানি দিয়ে চীনের সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিবে।
আমেরিকার নেতৃত্বে তার পোষ্য বন্ধুরাই পৃথিবী নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে, সেটা সামরিক দিকে হোক কিংবা অর্থনৈতিক দিকেই হোক। বিশেষ করে ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হলেও ২০০০ সালের পরে তারা আরো ক্ষমতায়িত হয়েছে। নানান অজুহাতে স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে আক্রমণ করে তাদের জনগণ সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হত্যা পর্যন্ত করেছে। আর নিয়ন্ত্রণ মিডিয়ার মাধ্যমে সেসব হত্যাকে মানবতার জন্যে হত্যা হলে হালাল করার চেষ্টা করেছে।
তবে নানান কারণে সামরিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চীন রাশিয়ার উত্থানে আমেরিকা যথেষ্ট ভীতই ছিল। তাই EU, G7 সহ নানান সংগঠনের মাধ্যমে সরাসরি চীন রাশিয়া বিরোধী এজেন্ডা নিয়ে একটা বৈশ্বিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে রেখেছে।
এমন কি, তারা পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েও অকুসের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন প্রদানের ব্যবস্থা করছে। যদিও এই সূত্র আবার উত্তর কোরিয়া ইরানের বেলায় তারা প্রয়োগ করে না।
বৈশ্বিক রাজনীতি মোটামুটি গত ২০ বছর একটা স্থিতি অবস্থা বজায়াই ছিল, তার কারণেই অনেক দেশ অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হয়৷ বড় দেশ যেমন চীন রাশিয়ার পাশাপাশি মধ্যমসারির দেশ যেমন এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ গুলাও।
এটাকেই সম্ভব বাইডেন সাহেব একটা থ্রেট হিসেবে দেখেছেন।
তিনি পরবর্তীতে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে বিশ্ব সহ আমেরিকা ভালই ঝামেলায় পড়েছে।
যেমন দেখা যাক,
আমেরিকার মধ্যপ্রাচ্যের ট্রামকার্ড ছিল সৌদি এবং ইসরায়েল। তবে মুসলিম বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করতে সৌদির বিকল্প নাই। সেই সৌদির সাথে USA এর সম্পর্ক এখন টালমাটাল অবস্থা। সৌদির রাশিয়া, চীন সফর এর একটা প্রকাশ হলেও সম্প্রতি ইরান-সৌদির চীনে গোপন বৈঠক Slap on the face of USA হিসেবেই দেখছে আমেরিকার অনেক নিউজ মিডিয়া।
এখন এই চুক্তির পরে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ইরাকও স্থিতিশীল হবে। যদি তাই হয়, GULF উপসাগরের ৬টা দেশ সহ ভাল একটা রাজনৈতিক জোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং তা ইসরায়েল তথা আমেরিকার জন্যে খুব একটা সুখকর হবে না।
ইসরায়েল ইতোমধ্যে এই চুক্তির বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে। এবং ইসরায়েলের প্রধান ইউরোপ সফর শুরু করেছেন।
যদি চীন 'সৌদি-ইরান' ও সৌদির প্রভাবে থাকা দেশগুলোকে 'প্রভাবিত' করতে পারে,
এবং রাশিয়া যদি UAE, তুরস্ক সহ এশিয়ান দেশগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে তাহলে আমেরিকার জন্যে বড় একটা সমস্যাই সৃষ্টি হবে।
বিশেষ করে আমেরিকা এখন সরাসরি OPEC কে তথা জ্বালানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
ওদিকে আবার EU এর অনেক দেশ NATO বাদ দিয়ে EU এর নিজস্ব সামরিক সংগঠন গঠনের ব্যাপারে কথা বলা শুরু করেছে!
আমেরিকা সম্ভবত তিন চার দশকে এমন রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়নি!
আর এর কিছু উদাহরণও দেখতে পারছি আমরা,
যেমন দক্ষিন কোরিয়া ও আমেরিকার সামরিক মহড়ার মাঝেই উত্তর কোরিয়া ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে, যা আগে কখনো করেনি।
চীন সাগরে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় চীনের যুদ্ধ জাহাজ ও বিমান আমেরিকার বিমানকে ইন্টারসেপ্ট করে গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে,
কৃষ্ণ সাগরে ফুয়েল ডাম্পিং করে রাশিয়ার দুটা SU27 বিমান USA ড্রোনকে ধ্বংস করে দিয়েছে!
আর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান রাশিয়ায় ড্রোন দিয়ে যাচ্ছে।
এমন অনেক উদাহরণই দেওয়া যায়।
বাইডেনের সময় খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। কিন্তু এখানেই বিপদ!
আপনি আমেরিকা, রাশিয়ার মত দেশকে বেশি বিপদে ফেলতে চাইলে তারা দু চারটা দেশ ধ্বংস করে হলেও টিকে থাকতে সক্ষম। ফলস্বরূপ দেখা দিবে গণহত্যা, যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, মারা যাবে বিশ্বের কোটি কোটি নিরাপদ সাধারণ মানুষ।
No comments