প্রায়শই এমন হয়, আমরা কাউকে ৫০%, ৬০% দিই, ১০০% দিতে পারি না; কারো কারো আবার ১০০% ই লাগে। একটা মনস্তাত্ত্বিক দ্বান্দ্বিকতায় ভুগি। সে ...
প্রায়শই এমন হয়, আমরা কাউকে ৫০%, ৬০% দিই, ১০০% দিতে পারি না; কারো কারো আবার ১০০% ই লাগে।
একটা মনস্তাত্ত্বিক দ্বান্দ্বিকতায় ভুগি।
সে যাক,
অনেকদিন পর প্রায় ভরদুপুরে রাস্তায় বের হলাম।
শীত পেড়িয়ে চারপাশে এত আলো দেখে কিঞ্চিৎ অবাক অবাক লাগছিল, আমি খুবই দ্রুত অবাক হয়ে যাই সম্ভবত।
রিক্সায় যে জায়গায় জ্যামে আটকে ছিলাম, খেয়াল করে দেখলাম এক মধ্যবয়সী লোক গরমে ঘেমে রাস্তার পাশে বরফ মিশানো ১০ টাকার সরবত খেয়ে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন, অথচ মাস খানেক আগে এখানেই, রাস্তার পাশে একটা গরমের কাপড়ের অভাবে কিছু মানুষ কী নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছিল! ভাবা যায়? আমি এটা ভেবেই কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে যাই। আমার অবাক হওয়ার ক্ষমতা বেশি সম্ভবত। কিংবা এমন হয় যে, আমার শিকড় গঁজিয়ে যায়।
দেড় মাসের শীতে অভ্যস্ততা চলে আসায়, বসন্তের এত আলো, দুপুরের গরমে কিঞ্চিৎ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই। সময় কিংবা মানুষ।
পরিবর্তন গুলো এত স্লো হয় যে, অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেলেও মনে হয় যে না, সব ঠিক আছে। আরেকটু হওয়ার পর খেয়াল হয়, আরে সবটাই তো পালটে গেল, সময় কিংবা মানুষ!
হেমন্তের অভ্যস্ততা কাটতে কাটতে শীত অর্ধেক শেষ, আবার শীতের অভ্যস্ততা কাটতে কাটতে বসন্ত কখন বিদায় নিবে ঠাহর করতে হয়ত পারব না।
ফিরছিলাম টেম্পু দিয়ে, কেন জানি ভাল লাগতেছিল না, পরে মাঝ পথে নেমে রিক্সা নিলাম।
রিক্সা খোলামেলা চারপাশ, ভালই লাগে। কিঞ্চিৎ বৃষ্টিতে রিক্সা আরো ভাল লাগে। শুধু রিক্সাওয়ালার দিকে চোখ পড়লে ভাল লাগে না, বেচারা এখনো পায়ে প্যাডেল করে কতদূরে যাচ্ছে!
সে যাক,
মাঝেমধ্যে কিছু মানুষ আমাদের শরীরের অংশ হয়ে যায়, যেমন হাত পা, চোখ, নাক, কান!
হঠাৎ তারা না থাকলে মনে হয় নিজের কিছু একটা নাই! বুক দরফর করে, মাথা ঘুরে। আবার দেখা যায় এই মানুষ গুলাই থাকে না বা মানুষ গুলোর সাথে থাকা হয়ে উঠে না।
তখনি সম্ভবত মানুষের মাথা ঘুরা আর বুক দরফর করার রোগ হয়, সুগার কম, প্রেশার উঠানামা এসব ফালতু কথা।
এই শহরে ইট পাথর গুলো যত কাছাকাছি থাকতে পারে, ততকাছে মানুষ থাকতে পারে না কেন?
দূরের মানুষকে হাতের কাছে আনার জন্যে মোবাইল আবিষ্কার করার পর দেখা গেল, দূরের মানুষ কাছে এলো না তো এলোই না, বরং কাছের মানুষ দূরে চলে গেল!
কী এক বিষাদময় অবস্থা!
তবুও তারা সুখে থাকুক, যেখানে সুখ পায় সেখানে থাকুক।
~ চলে যায় বসন্তের দিন ~
||২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩||
||ইট পাথরের চারকোণা খোয়াড়||
No comments