রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে মোড় নিলে তাইওয়ান, ফিলিস্তিন ব্যাপ আপ প্ল্যানে থাকলেও, এই কয়েকদিনের ইসরায়েলি আগ্রাসন তাদের ব্যক্তিগতই মনে হচ্ছ...
রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যদিকে মোড় নিলে তাইওয়ান, ফিলিস্তিন ব্যাপ আপ প্ল্যানে থাকলেও, এই কয়েকদিনের ইসরায়েলি আগ্রাসন তাদের ব্যক্তিগতই মনে হচ্ছে। অন্তত ইউএসএ এপ্রুভড মনে হচ্ছে না।
ইউএসএ ইতোমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যে একটা যুদ্ধবিরোধী দর্শন সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছে কিছু সময়ের জন্যে, অন্তত তারা যুদ্ধ বাঁধানোর আগ পর্যন্ত।
এখানে আবার ICC কে নিয়ে গনহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ সহ সব কার্ডই ব্যবহার করছে। UN এ একটার পর একটা প্রস্তাব আনা হচ্ছে।
এর মধ্যে রোজায় গাজায় হামলা চালানো যুক্তিসঙ্গত মনে হয় না।
এরচেয়ে ভাল যুক্তি হচ্ছে,
ইসরায়েলে চলা আন্দোলন কিঞ্চিৎ প্রধানমন্ত্রী বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই তারা পরিস্থিতি ট্যাকেল দিতে আবার ফিলিস্তিনের ইস্যু বড় করে ফেলেছে।
এখন লেবানন যুক্ত হওয়ায় ইসরায়েলে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে পারবে!
যেমন ধরুন,
ভারতে মোদির জনপ্রিয়তা যখনই কমতির দিকে ছিল, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে বসে!
অস্ট্রেলিয়ার পলিটিক্যাল পার্টি ডমেস্টিক পলিটিক্সে লাভের জন্যে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল,
এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়।
সে যাক,
এই ইসরায়েল ফিলিস্তিন ইস্যুটাই UN এর কফিনে শেষ পেঁরেক মারবে মনে হচ্ছে,
কারণ রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর যখন সবখানে পুতিনের সমালোচনা হচ্ছিল,
পুতিন সুন্দর করে ফিলিস্তিন ইসরায়েল ইস্যু নিয়ে আসছিলেন।
অর্থাৎ সবাই ফিলিস্তিনের ব্যাপারে চুপ থাকলে ইউক্রেনের ব্যাপারেও চুপ থাকুন, অনেকটা এমন ব্যবহার করেন।
এখন বৈশ্বিক রাজনীতি দ্রুত পাল্টাচ্ছে,
ইউরোপ অস্থিতিশীল, ফ্রান্স জার্মানি সহ অনেক জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে,
ফ্রান্সের কর্তা সাহেব চীনে, এটা নিয়ে আবার ইউএসএ এর মিডিয়া অনেকটা যা-তা-ই লিখে যাচ্ছে,
ব্রিকস নতুন মুদ্রা আনছে,
আর বাংলাদেশ সরাসরি আমেরিকা, ইউকে সহ পশ্চিমা দের বিরুদ্ধে গিয়ে ইরানের পক্ষে ভোট দিয়েছে, যদিও সেখানে ভারতও ভোট দানে বিরত ছিল!
No comments