Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

ধর্মচিন্তা ০২

 ধর্মচিন্তা ০২ [ আমার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। চিন্তাভাবনার বৈশিষ্ট্য হলো সময় ও জ্ঞানের সাথে পরিবর্তিত হয়। কেউ এই সিক্যুয়াল পড়ে আহত হলে নি...


 ধর্মচিন্তা ০২


[ আমার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা। চিন্তাভাবনার বৈশিষ্ট্য হলো সময় ও জ্ঞানের সাথে পরিবর্তিত হয়। কেউ এই সিক্যুয়াল পড়ে আহত হলে নিজ দায়িত্ব সুস্থতা ফিরিয়ে আনার অনুরোধ রইলো ]


ধর্মচিন্তা ০১ পড়ুন - ক্লিক 



ঠান্ডা বাতাসে মসজিদের করিডরে ভালই লাগছিল। 

একটু পর মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলাম ঘূর্ণিঝড়ে মহেশখালীর অবস্থা খারাপ। 

সবাই নিরাপদে বাঁচুক।


আজ সারাদিন ভাবছিলাম ধর্ম নিয়ে ফান্ডামেন্টালিজমের সাথে এনার্কিজমের মধ্যে কোন লাইন আঁকা যায় কিনা। 


মোটাদাগে কিছু সম্পর্ক আছে।


যেমন ধর্মে দৃশ্যমান কোন সেন্ট্রাল অথোরিটি নেই। এখানে অথোরিটিটা  অদৃশ্যমান ও অনেকটা 'স্প্রিচুয়াল বিলিফ' এর উপর নির্ভর করে। 

যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না তাদের কাছে ধর্মকে 'অথোরিটিলেস' মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক।  


এখানেই কিছু ভাবনার জায়গা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।


ফান্ডামেন্টাল ব্যক্তিরা My religion is right চূড়ান্তভাবে ধারণ করে খানিক পালন করেই নিজেকেই ধর্মের অংশ ও এক সময়ে নিজেকেই ধর্ম ভাবা শুরু করে। এক্ষেত্রে তারা I'm right দর্শনে উপনীত হয়ে যায়। 


মূলত তারা একটা অথোরিটি সৃষ্টি করতে চায়, 

যেহেতু ধর্মের দৃশ্যমান অথোরিটি নাই, তাই এই শুন্যতাকে তারা পূরণ করে একটা কেন্দ্রীয় অথোরিটি বানাতে চায় বা নিজেই অথোরিটির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চায়। 

এবং তাদের একটা বিশ্বাস দাঁড়ায় যে, ধর্মই তাদের এই ক্ষমতা দিচ্ছে কারণ এতে আপাতদৃষ্টিতে ধর্মেরই লাভ হচ্ছে! 


এখানে একটা ব্যাপারে কনফ্লিক্ট দাঁড়ায়,


ধর্মের লাভ মানে কী? 

যদি ধর্মের লাভ থাকে তাহলে কীসে লাভ হয়? 


আমার মনে হয় 'ধর্মের লাভ' এই চিন্তাটাই ভুল,

কারণ ধর্ম সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি, তাই এখানে লাভ লস নেই,

পুরোটাই মানুষ কেন্দ্রীক। তাই ধর্মের প্রসারে আসলে ধর্মের 'লাভ' হয়না, হয় মানুষের - যারা 'ধর্মের মতে' পথভ্রষ্ট ছিল এবং পরবর্তীতে সঠিক পথে আসতে সক্ষম হয়। 


এবং ধার্মীকের কাছে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা বা অপ্রয়োজনীয়তার প্রশ্নেই আসবে না কারণ তারা বিশ্বাস করে এটাই বাস্তব ও বর্তমান। এটার বাইরের সবকিছুই তারা রিজেক্ট করে। 


তাই আমার মনে হয় ধর্ম প্রচার বলতেও আসলে কিছু নাই। এটার সঠিক শব্দচয়ন হওয়া উচিত 'সৃষ্টিকর্তার নির্দেশিত পথে আহ্বান'।  


সে যাক, আগের টপিকে ফিরি,

ধর্মের অথোরিটি মানুষ বা প্রতিষ্ঠান হতে পারে কিনা সেটা একটা ডিবেটেবল ইস্যু, কারণ প্রায় সব ধর্মেরই অথরিটি হিসেবে মানুষই ছিলেন। যেমন আমাদের বেলায় নবী রাসুলদের দেখা পাই। 

বর্তমানে যেহেতু তাঁরা নেই, সৃষ্টিকর্তার ও নবী (স:) এর নির্দেশনা রয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন ও দেখভাল করার জন্যে অথরিটি নেই, কিংবা অথোরিটির প্রয়োজন নেই ভাবা হয়েছে, সেক্ষেত্রে এখন সবাই সেসব নিয়ম কানুনের মাধ্যমেই জীবনযাপন করছে বা করার চেষ্টা করছে। 


তবে এনার্কিজমের সাথে এখানেই একটা দ্বান্দ্বিকতার সৃষ্টি হয় যে,

এনার্কিজমে একটা সময়ে ভারসাম্যের সৃষ্টি হলেও ধর্মের মধ্যে বা ধর্ম পালনকারী অনেক ব্যক্তিদের মধ্যে এই ভারসাম্য এখনো দেখা যায়না।


ধর্মচিন্তা ০১ পড়ুন - ক্লিক 


ধর্ম হয়ত এখানে ব্যক্তির 'চয়েস'এর উপর একটা আপাত 'স্বাধীনতা' প্রদান করছে যেন পৃথিবীটাকে সত্যিকার অর্থেই 'টেস্ট জোন' বানানো যায়। এই পরীক্ষায় যারা পাশ করবে তাদের জন্যে পুরস্কার রয়েছে। 


সম্ভবত, 

মানুষের 'অথোরিটি' হওয়ার বা বানানোর চেষ্টা না থাকলে ব্যাপারটা আরো স্মুথলি ফাংশন করতে পারত; এবং মানুষের ধর্ম পালন এবং ধর্মজ্ঞান অর্জনের একটা ভারসাম্য থাকতো।

No comments