Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

কাতারে হামাস নেতাদের উপর আক্রমণ আমাদের কী বার্তা দেয়? - বিবর্ণ রাফি

    গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে, আমেরিকার আমন্ত্রণে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কাতারে ইসরায়েলের সাথে শান্তি আলোচনার জন্যে হামাস নেতারা কাতারে...


 

 

গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে, আমেরিকার আমন্ত্রণে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কাতারে ইসরায়েলের সাথে শান্তি আলোচনার জন্যে হামাস নেতারা কাতারে অবস্থান করছিলেন। এমন সময় তারা ইসরায়েলের আক্রমণের শিকার হোন এবং ৪ থেকে ৬ জন হামাস নেতা মারা যান। এর মধ্যে হামাসের এক শীর্ষ নেতার ছেলেও রয়েছে। 

 

এখানে কিছু ব্যাপার বুঝা প্রয়োজন- 

  • শান্তি আলোচনার ডাক দেয় আমেরিকা। যারা বর্তমানে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র। 
  • শান্তি আলোচনার স্থান কাতার, যেটি একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।

আমেরিকার আমন্ত্রণ বলতে বুঝাচ্ছে এইটা পুরোপুরি আমেরিকার দায়িত্বে চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় আমন্ত্রিত হামাস নেতাদের উপর আলোচনার অন্য পার্টি ইসরায়েলের আক্রমণের ঘটনার দায় অবশ্যই আমেরিকাকেও নিতে হবে, এবং কাতারকেও। 

 

ইসরায়েলের যুক্তি কী? 

  • এই আলোচনায়, তাদের মতে, ইসরায়েলে হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীরা ছিল। এবং নেতানিয়াহু আরো বলে- অস্ট্রেলিয়ার উপর হামলা হলেও, অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েলের মতই কাজ করতো।

 

ট্রাম্প তথা আমেরিকার ব্যর্থতা: 

  • বাইডেনের সময়ে ইসরায়েলকে কন্ট্রোল করতে না পেরে অস্ত্রের চালান আটকে দেয়। 
  • আমেরিকার কন্ট্রোলে যে ইসরায়েল নেই সেইটা আমেরিকা এখনো অনুধাবন করতে পারছে না বা মানসম্মান যাবার ভয়ে চাচ্ছেও না। 
  • ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউজের বক্তব্যে এইটা নিশ্চিত  যে তারা জানেইনা যে নেতানিয়াহু এই কাজ করবে। তারা জানিয়েছে, ইসরায়েল এই কাজ পরবর্তীতে আর করবে না। যেটা হাস্যকর ও বিশ্বাস করার সুযোগ  নাই। কারণ ট্রাম্পের বিধিনিষেধ ইসরায়েল গুণায় ধরে না। 

 


 

এখন অবস্থা কোন দিকে যেতে পারে? 

  • কাতার হামাস, হুথি বা অন্যদের হামিলার মুখে পড়তে পারে৷ কারণ তারা বরাবরই আমেরিকা ইসরায়েলের সাপোর্টার। বাট এবার সব লিমিট ক্রস করে ফেলেছে। ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্যে এখন কাতার নিন্দা জানালেও এগুলা খুবই ইউজলেস কথাবার্তা। 

 


  • শান্তি আলোচনাই বাদ হয়ে যেতে পারে। তবে হামাসের পক্ষে আর যুদ্ধ করার ক্ষমতাই নাই, তাই হয়ত আলোচনায় যেতে পারে। 
  • আলোচনার স্থান ইউরোপ বা রাশিয়া চীন পন্থী কোন দেশে হতে পারে। 

 

এই হামলা মূলত যুদ্ধের নিয়মনীতি, মানুষ হিসেবে কমিটমেন্ট, সম্মান কিছুই আর অবশিষ্ট নাই। ইসরায়েল একটা টেরোরিস্ট এবং তাদের চিন্তা চেতনা অনেকটা পশুদের মতই।

 

ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের পুরো বিশ্বেই যুদ্ধের প্রক্রিয়া পালতে যেতে পারব, যা মানবজাতির জন্যে মারাত্মক বিপর্যয়ের হবে। 

No comments