বছর শতক আগে, এই শহরে সাদা গোলাপের প্রাচুর্যতা ছিল না। যা কয়টা বিশেষ পাওয়া যেত, ছোট, পিষে যাওয়া পাপড়ি কিংবা যেমন ছিল যেমনটায় ঠিক ভালবাসা...
বছর শতক আগে,
এই শহরে সাদা গোলাপের প্রাচুর্যতা ছিল না।
যা কয়টা বিশেষ পাওয়া যেত, ছোট, পিষে যাওয়া পাপড়ি কিংবা যেমন ছিল যেমনটায় ঠিক ভালবাসা প্রকাশ করা দুষ্কর হয়ে পরে।
এসব ভাবতে ভাবতে অনিমেষ শত বছরের পুরাতন দোকানটার সামনে এসে দাঁড়ালো।
ঢেবে যাওয়া মেঝে, দেয়াল থেকে প্লাস্টার খসে খসে পরছে, উত্তর দিকের ছাদটা ফুটো, হিম শীতল বাতাস এসে গায়ে শিরশিরে ধরিয়ে দিচ্ছে। এ এক বিষণ্ণ শিল্পকর্মের মত।
বাবা থেকে ছোট বেলায় অনিমেষ এই দোকানের অনেক গল্প শুনেছে। তার দাদুর বাবাও নাকি এই দোকান থেকে বাজার করে বাসায় যেত। এখানে নাকি সব পাওয়া যায়।
অনিমেষ উশখুশ করছে, দোকানে খুব বেশি ভীর নেই, আবার একদম খালিও না।
সে একজনকে ডেকে বললো, 'এই শুনছেন? আমার এক জোড়া ফ্রেশ চোখ লাগবে। আগের হলে হবেনা। বড়, কাজল কালো টানা টানা চোখ! হবে? দাম সমস্যা না, মাল ফ্রেশ হওয়া চাই।
কী, নেই?!
আমার চোখ জোড়া বুঝলেন বড্ড যন্ত্রণা দিচ্ছে। কিসব ছাইপাঁশ দেখি সারাদিন, যা দেখতে চাই তাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছিনা, কী যন্ত্রণা!
শেষবার যখন তাকে দেখলাম, কি একটা এসে পরলো চোখে! পানির ফোয়ারা বেয়েই চললো!
সেবারি শেষ, আর দেখিনি। আমার মনে হচ্ছে কি মশাই, এই চোখ দুটা সম্ভবত ঠিকমতো ফোকাস করতে পারছে না!
আর নয়ত এমন কি হবে কখনো, এত মানুষ দেখি শুধু একজনেই দেখিনা!
ঠিক আছে, এই ৫০০ টাকা রাখুন। এডভান্স করে গেলাম। টাটকা চোখ পেলেই খবর দিবেন। দাম বেশি হলে হোক, কোয়ালিটি যাতে ভাল হয়।'
প্রিয় একটা কবিতা ��
ReplyDelete