আমরা যা বলি তা কি বিশ্বাস করি? মেনে চলি? এটা বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা। আগে যেমনটা দেখা যেত, নিজের দর্শন, নিজের বক্তব্যের জন্যে অনেক ব...
আমরা যা বলি তা কি বিশ্বাস করি? মেনে চলি?
এটা বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা। আগে যেমনটা দেখা যেত, নিজের দর্শন, নিজের বক্তব্যের জন্যে অনেক বড় বড় অপুর্চুনিটি ছেড়ে আসতো, কখনো শুনা যায় প্রাণ দিয়ে দিত।
এখন এসব নেই, নিজের লাভের জন্যে নিজের বক্তব্য, দর্শন পাল্টাতে দুই মিনিটও লাগে না। এমন এক অবিশ্বাসের সময় চলছে।
সে যাক, আমাদের কাজ ও কথায় মিল নেই কেন?
ধরুন, কেউ ক্লাসে অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলাকে এপ্রিসিয়েট করে এবং বলতে উৎসাহিত করে। কিন্তু যদি তিনিই অপরাধ করেন, সেক্ষেত্রে সে অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি কী করবেন?
এপ্রিসিয়েট করবেন নাকি কণ্ঠরোধ করারা চেষ্টা করবেন?
ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতা গঠনে যে সব প্রতিষ্ঠান ভূমিকা পালন করে ( পরিবার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) একটা উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলো বিশ্ববিদ্যালয়।
অথচ বর্তমানে দেখায় নানান বিশ্ববিদ্যালয়েই কথা বললে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে/প্রতিবাদ করতে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষেধ করার নিউজ নানান সংবাদপত্রে নিউজ হয়েছে।
সমাজে কি এর দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব পড়বে?
এটা নিয়ে ভাবা উচিত। আমাদের সামাজিক কাঠামোটাই এমন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই সমাজের আর্থিক খাতের অধিকাংশ অংশ নেতৃত্ব বা নিয়ন্ত্রণ করে।
আমরা যদি শুরুটাই নানান ব্যক্তিগত লাভের জন্যে একটা মানসিকভাবে শক্তিশালী ছাত্রসমাজ গঠন না করি,
এক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে সমাজ ও দেশ যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে, তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কি নিবে?
তবে, এটা কি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়েই আবদ্ধ? নাকি অন্যান্য সেক্টরেও একই অবস্থা?
এখন বেশিরভাগই "Variable" হয়ে গেছে, "Constant" হিসেবে আছে "টাকা",
তাই আগে যেমন ভাল মানুষরাই ভাল জায়গায় যেত, তাদের কথার একটা মূল্য ছিল সেটা আর নাই এখন,
যেমন আগে হত কি, "উনি একজন ব্যাংকের ম্যানেজার উনার মতামত নিই" বা "উনি একজন শিক্ষক, উনার কথা শুনি", এখন আর এসব হয় না।
এতে সমাজের স্ট্রাকচারে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বা আগামীতে পড়তে যাচ্ছে।
আমাদের অপরাধ আমাদের চিন্তায়, আমাদের অপরাধ দর্শনে।
No comments