Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

স্পাইরাল অফ সাইলেন্স এবং সমষ্টির দায় - রাফিউ আহমেদ

     স্পাইরাল অফ সাইলেন্স। সহজ ভাষায় বললে,  মানুষ যদি মনে করে তার ভিন্নমত  প্রকাশ করলে সে দল বা গোষ্ঠী ত্যাগী হবে কিংবা সবাই তাকে পরিহার করব...

 


 

 স্পাইরাল অফ সাইলেন্স।

সহজ ভাষায় বললে, 

মানুষ যদি মনে করে তার ভিন্নমত  প্রকাশ করলে সে দল বা গোষ্ঠী ত্যাগী হবে কিংবা সবাই তাকে পরিহার করবে, সে নিজের ভিন্নমত প্রকাশ করবে না। বরং চুপ থাকবে। কারণ মানুষ একাকীত্ব খুব একটা সহ্য করতে পারে না। আরো অনেক কারণ আছে।   

এখন কথা হচ্ছে,  স্পাইরাল অফ সাইলেন্স সমাজে বা গোষ্ঠীতে ইনজাস্টিস বা ক্রাইম করতে বা বাড়াতে প্রভাবিত করে কিনা।   

ধরুন,

বন্ধুদের কাজ হচ্ছে গীবত করা, কারো পিছনে লেগে থাকা, ঝামেলা করা, খারাপ কাজ করা। এখন আপনি চাইলেও এই কাজ গুলো থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। কারণ বিরত থকলে তারা আপনাকে দলভুক্ত মনে করবে না ও আপনি একা হয়ে যাবেন। আর এটা আপনি চাইবেন না। তাই আপনি যদি মনে করেন, আপনি দলে থাকলেও সবার চেয়ে আলাদা, ব্যাপারটা অনেকটা সদ্য কৈশোরে অবতীর্ন কিশোরীর অবাধ কনফিডেন্সে বলা,'আমি ভালবেসে ওকে খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে আনবোই' এর মতই শোনাবে।  

 

তো, দুটা প্লট থেকে যা বুঝা যাচ্ছে, আপনি যদি ভাল সার্কেলে থাকেন, আপনার খারাপ হওয়া কঠিন, আবার আপনি উল্টাপাল্টা সার্কেলে থাকলে আপনার ভাল থাকা কঠিন।  

এবার প্লটের আকার বড় করা যায়, একটা সার্কেল চিন্তা না করে দেশ হিসেব করা যেতে পারে।

 একটা কথা প্রায়শই শুনা যায়,   

'বাঙালীরা বিদেশে গেলে ঠিকি ট্রাফিক আইন মানে, গাড়ির জানালা দিয়ে কলার ছোকলা ছুড়ে মারে না, দেয়ালে আঁকা বিপ্লবী গ্রাফিতির মাঝে এইম করে মূত্র বিসর্জন করে না, দেশে আসলেই আবার সব উদ্ভট অভ্যাস ফিরে আসে কেন?'  

 

এই প্রশ্নের উত্তর এখন নিজেই বুঝতে পারছেন? স্পাইরাল অফ সাইলেন্স থিউরির মতে, তারা বিদেশে গেলে দলের প্রভাবে দলের মত আচরণ করা শুরু করে বা শুরু করতে চাপ অনুভব করে। তাই চিন্তা ও ব্যবহারে পরিবর্তন আসে।

 

যাইহোক,   মূল ব্যাপার হলো সমষ্টি। সমষ্টি আপনাকে প্রভাবিত করবে। তাই সমাজ বা দেশ র‍্যাপিডলি পরিবর্তন করা যায় না। তাই ডাস্টবিন পরিষ্কার থাকে কিন্তু রাস্তাঘাট ময়লা থাকে।  একা থাকার অভ্যাস করুন, তাইলে সমষ্টির ক্ষমতা কমবে। এবার আপনার মত একা মানুষ গুলো নতুন সুন্দর সমষ্টি গঠন করুন। আপনাই পরিবর্তন আনতে পারবেন।

 

No comments