মগজে শব্দের ছোটাছুটি, শিরায় রক্তের দৌঁড়, মুখে কথা আসে না। আমার মনে হয়, মূর্তি বানানোর ধারণাটা মানুষের মাথায় আসে 'শোক' থেকে। আমরা যখ...
মগজে শব্দের ছোটাছুটি, শিরায় রক্তের দৌঁড়,
মুখে কথা আসে না।
আমার মনে হয়,
মূর্তি বানানোর ধারণাটা মানুষের মাথায় আসে 'শোক' থেকে।
আমরা যখন মানুষ হারিয়ে ফেলি, কোন না কোন ভাবে চাই কিছু হলেও রয়ে যাক। ছোট হয়ে যাওয়া পাঞ্জাবি, ভাঙাচোরা হলেও শোপিস, ঝর্ণা কলম কিংবা কিছু একটা, সেটা সেটাই হোক!
অনেক অনেক আগে তো তেমন কিছু ছিল না,
তখন সম্ভবত তারা মূর্তি বানিয়ে রাখত।
ইচ্ছামত দেখা যায়, শোক করা যায়, আরাধনা করা যায়!
আমরা সম্ভবত ঈশ্বরের চেয়ে মানুষের আরাধনা বেশি করি! আমরা প্রার্থনায়ও ঈশ্বরের চেয়ে মানুষকে খুঁজি হাজার গুণ বেশি!
সে যাক,
সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার অবশ্যই ক্যামেরা।
সবসময় তো আমরা জ্বলজ্যান্ত মানুষকে পাশে রাখতে পারি না, তাই ছবি বুক পকেটে নিয়ে ঘুরি!
যদি ক্যামেরা না থাকতো,
আমরা হয়ত বাসায়, কাজে, রাস্তাঘাটে সবখানে মূর্তি বানিয়ে বসে থাকতাম!
সবার তো মানুষ থাকে না, ছবি বা মূর্তিই ভরসা।
No comments