একটা নদী ছিল, সারাদিন মৃদু ছন্দে ঢেউ খেলা করতো, নদীর চারপাশে সবসময় থাকতো বসন্ত। সেই নদীর পাড়ে একজন কিশোরী, নীল শাড়ি, নীল চুড়ি,চোখে কা...
একটা নদী ছিল,
সারাদিন মৃদু ছন্দে ঢেউ খেলা করতো,
নদীর চারপাশে সবসময় থাকতো বসন্ত।
সেই নদীর পাড়ে একজন কিশোরী,
নীল শাড়ি, নীল চুড়ি,চোখে কাজল আর খোলা চুলে পা ভেজাতো,
মৃদু ঢেউ এর সাথে সাথে পায়ের আলতা একটু একটু করে মিশে যেত,
চারপাশ যেনো আরো জীবন্ত হয়ে উঠলো,
খামখেয়ালি বাতাসে চুল গুলো উড়ো,
ফুল গাছ গুলো মেয়েটার পছন্দের সাথে সাথে,
কখনো বকুল, কখনো জুঁই কখনোবা কৃষ্ণচূড়া হয়ে যেত,
আকাশের মেঘ গুলো ছায়া দিত।
এ এক রূপকথার মত।
সেই নদীর কোন নাম ছিল না,
কোন স্থান ছিল না,
যখন মেয়েটার যেখানে ইচ্ছে হত,
নদী আর বসন্ত সেখানেই পৌঁছে যেত,
এ এক তীব্র অসুখের মত ভালোবাসা ছিল।
একদিন মেয়েটার আর ইচ্ছে হয়নি,
নদী, বসন্ত, মেঘ গুলো, ইচ্ছে-ফুল গুলো সব মিলিয়ে গেল,
সে এক রূপকথার মত।
এ গল্প কেউ জানেনা,
গল্পটাও হারিয়ে গেল, নিষিদ্ধ হয়ে গেল মহাকালে।
No comments