"চকবাজার ইফতারিপাড়া মোঘল ঐতিহ্যের ধারক। এখানকার ইফতারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আস্ত মুরগির কাবাব, মোরগ মুসাল্লম, বট...
"চকবাজার ইফতারিপাড়া মোঘল ঐতিহ্যের ধারক। এখানকার ইফতারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আস্ত মুরগির কাবাব, মোরগ মুসাল্লম, বটিকাবাব, টিকাকাবাব, কোফ্তা, চিকেন কাঠি, শামিকাবাব, শিকের ভারী কাবাব, সুতিকাবাব, কোয়েল পাখির রোস্ট, কবুতরের রোস্ট, জিলাপি, শাহি জিলাপি, নিমকপারা, সমুচা, আলাউদ্দিনের হালুয়া, হালিম, দইবড়া, সৌদি পানীয় লাবাং, কাশ্মীরি সরবত, ইসবগুলের ভুসি, পুরি এবং ৩৬ উপকরণের মজাদার ‘খাবার বড়বাপের পোলারা খায়’সহ কত রকমের পদ"
এটা শুধু ঢাকার জন্যে না, অনেক অঞ্চলেরই এমন কিছু নামকরা খাবার আছে। ইফতারি হিসেবে এসবের চাহিদা প্রচুর। বাড়ে দামও। তবু রোজা তো বছরে একবারেই আসে!
কিন্তু এবারের অবস্থা পুরোপুরি ভিন্ন।
সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মানতে বলা হচ্ছে। মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। এবং সবকিছু টানা ৪০ দিনেরও বেশি দিন ধরে বন্ধ । তাই অসংখ্য মানুষের আয় অনেকটাই বন্ধ। বাড়ছে দারিদ্র্য। সরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত, করোনায় ভুগছে সবাই।
এই সময়ে রোজায় কি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত?
হ্যা অনেকটা সেরকমি। আগের মত হুড়োহুড়ি করে ইফতারি কিনা উচিত হবেনা। উচিত হবেনা রাস্তার খোলা খাবার কিনা। ইতোমধ্যে অনেক এলাকাতেই পুলিশ রাস্তায় ইফতারি বানানো ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে।
আবার ইফতারে একটা খাবার খাওয়াই লাগবে এটা ভেবে সবাই বাজারমুখি হওয়াও বোকামি হবে। সবাই একসাথে বাজারে গেলে সেটা যৌক্তিক হবেনা। কারণ একই, করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা।
এ ছাড়া প্রতিবছর রোজায় কিছু বিশেষ পণ্যের চাহিদা বাড়ার কারণে বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়। এবার যেহেতু বড় একটা অংশের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, তাই তাদের জন্যে হলেও আমাদের এই রোজায় খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা উচিত।
এবারের রোজায় না হয় পছন্দের খাবার না খেয়ে একটু বেশি সংযম করলেন, সেটা দেশ ও দেশের মানুষের জন্যেই।
সবাই ভাল থাকলে আবার একদিন সুস্থ দেশে পছন্দের খাবার দিয়ে ইফতারি করা যাবে।
ততদিন পর্যন্ত সবাই সবার যত্ন নিন। প্রতিবেশী ইফতার করতে পেরেছে কিনা, বাসায় খাবার আছে কিনা তার খবর নিন।
এবারের রোজা সংযম,সাহায্য, ত্যাগ, দানের জন্যে উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে, শুধু আপনারা সবাই চাইলেই সম্ভব।
No comments