Page Nav

HIDE

Grid

GRID_STYLE

Pages

Recent Writings

{latest}

লিখুন, লিখতে দিন।

 ফেইসবুকে লেখালেখি করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা এ ধরণের প্রশ্ন যারা করেন তারা মূলত স্যাডিস্ট,  প্রচন্ড রকমের স্যাডিস্ট।   ফেইসবুকে ধর্ষণ...


 ফেইসবুকে লেখালেখি করলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা এ ধরণের প্রশ্ন যারা করেন তারা মূলত স্যাডিস্ট,  প্রচন্ড রকমের স্যাডিস্ট।  

ফেইসবুকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে লিখে কি হবে, 

সমস্যা ফেইসবুকে দিয়ে কি হবে, 

ইত্যাদি ইত্যাদি...  

 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পক্ষেই কথা বলতে হবে এমন না, 

সবাইকে বিপক্ষেই কথা বলতে হবে এমনও না। 

 

 সবার ব্যক্তিগত স্ট্যান্ড থাকাই স্বাভাবিক। 

 তবে এখানেও একটা ক্রিটিসিজমের সুযোগ আছে, বেআইনি না হলেও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্নের সুযোগ আছে  সে যাক। 

 

 প্রথমত,  কে কোথায় কী লিখবে, যতক্ষণ না সেটা কারো অনুভূতিতে আঘাত করে(!) ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে লিখে না করা/না দিতে পরোক্ষভাবে প্রেশারাইজ করা সরাসরি কন্সটিটিউশনাল রাইট ভায়োলেশন। একটা না, কয়েকটা রাইট ভায়োলেট হয়। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।   

 

 শুধুমাত্র জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে কিছু অধিকার স্থগিত হয়। এখন দেশে জরুরী অবস্থা নেই।  তা ছাড়া অধিকার স্থগিত হলেও সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের। ব্যক্তিগতভাবে কারো না। এখানে ব্যক্তিগত এপ্রোচের সুযোগ নেই। এতে আরেকটা ক্রিমিনাল অফেন্স হয়ে যায়। ইভেন ক্রিমিনালেরও রাইট থাকে। কেউ একটা অন্যায় করে ফেলা মানে এটা না যে সে অন্য রাইট গুলা পাবে না।   

 

যেমন ক্রসফায়ার। কেউ খুন করলে বা ধর্ষণ করলেই তাকে ক্রসফায়ার করা যায় না....   

 

সে যাক,  সবাইকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধের ব্যাপারেই লিখতে হবে এমন না, এখানে দুভাবে চিন্তার অবকাশ আছে।

  কেউ ব্যক্তিগতভাবে নিজের ভাল ভেবে লিখালিখি করতে পারে, 

কেউ বা নিজেরটা না ভেবে সবার কল্যাণে ভাবতে পারে।   

 

এক্ষেত্রে কার ভাবনা এপ্রিসিয়েটেড হবে সেটা সময় বা পরিস্থিতিই বলে দেয়।  

 

 ফেইসবুক বরাবরই এখন একটা মতপ্রকাশের অন্যতম একটা মাধ্যম। যারা বলেন ফেইসবুক তো মিডিয়া না, তা বটে, তা ঠিকও না।   

 

আগে ব্ল্যাকবোর্ড ছিল মানে এমন না এখন হোয়াইট বোর্ড ইউজ হবে না, বা প্রোজেক্টর ইউজ হবে না।  

 

এটা আমাদের চরিত্রের একটা ডিলেমা। তীব্র দ্বান্দ্বিকতার অসুন্দর বহিঃপ্রকাশ.... 

আমরা নিজের সুবিধামত পরিবর্তনকে গ্রহণ করি, অসুবিধার হলে ক্রিটিসাইজ করি...  

 অনেক বড় বড় পজিশনে থেকেও এমন দ্বান্দ্বিকতার সম্মুখীন হতে পারে।   কোথায় লিখে কি হবে এটা একটা জটিল প্রশ্ন, লিখে কিছু হবে না এটা একটা নিম্নমানের সরলীকরণের বিশ্রী প্রকাশ।   

 

এম্বেসি, প্রশাসন থেকে শুরু করে সব এখন ভার্চুয়ালে। শুধু আমাদের দেশ না, বিশ্বের সব দেশেই রাষ্ট্রের একটা করে আইডি থাকে, ফেইসবুক বা টুইটারে। 

 

  সারাবিশ্বের শুধু ইকোনোমিতে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্ট্রিবিউশান নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করা যেতে পারে, সামাজিক সমস্যা রোধে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্ট্রিবিউশান নিয়ে অনেক তথ্য গুগলেই আছে।  

 

লিখালিখি করতে দিন, পক্ষে বা বিপক্ষে।  

লিখতে লিখতে শিখবে,  ভাবা শিখবে।  

ভাবতে নিষেধ করলে একটা মস্তিষ্কহীন সমাজ সৃষ্টি হবে, এটায় আদৌতে আমাদের সবারই ক্ষতি। 

 

 আর,  লেখার আগে একটু কি লেখা হচ্ছে তা নিয়ে প্রি-থট দিলে সুবিধা, ব্যক্তিসত্তার আয়না হলো তার লেখা, লেখাতেই যুক্তিশীলতা প্রকাশ পায়।  অযথা হাস্যকর যুক্তি ব্যক্তিহীনতা প্রকাশ করতে পারে।   

লেখায় যুক্তির ঝংকার হোক, 

ভাষা সুন্দর ভদ্র মার্জিত হোক, 

ব্যক্তিত্বে মেনে নেওয়ার গুণ জন্মাক, 

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ দৃঢ হোক, 

ভাল যুক্তিতে সবাই একমত হোক।  

 

তবে, সবাই লিখুন ♥

 

 

 

 

No comments