জীবনকে সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় করে তুলে কী? আনন্দ? শোক? প্রেম? বিচ্ছেদ? প্রেমের পর বিচ্ছেদ? সারাদিন ক্ষেতে কাজ করে এসে, বিকেলে...
জীবনকে সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র্যময় করে তুলে কী?
আনন্দ? শোক?
প্রেম? বিচ্ছেদ? প্রেমের পর বিচ্ছেদ?
সারাদিন ক্ষেতে কাজ করে এসে, বিকেলে অল্প একটু খেয়ে,
গ্রামের আড্ডায় জোর গলায় 'বন্দে পিরিতি শিখাইছে, দেওয়ানা বানাইছে...' গাওয়ার কণ্ঠে কী শোক!
কিংবা,
শহরের দামি কোন রেস্তোরাঁয় কফি হাতে কাচের স্বচ্ছ কাচের দেয়ালের ওপারে হওয়ার ঝড়ের দিকে তাকিয়ে দেওয়া দীর্ঘশ্বাসে কী ভয়াবহ আক্ষেপ!
কিংবা,
মাঝরাতে হলের সামনের টঙের টেবিলে হাত দিয়ে বাজানো তবলার শব্দের সাথে গলার স্বরের মেলবন্ধনে কী সুতীব্র হাহাকার!
কিংবা,
বিশ্রী গরমের দুপুরে রিক্সাওয়ালা মামার চা আর টোস্টবিস্কিট আর বিড়ি হাতে আক্ষেপ, 'এক কালে মামা অনেক ভালবাসছিলাম' বলে বিরস হাসিতে শোক লুকানোর চেষ্টা!
কিংবা,
সদ্য বিবাহিত রমনীর গানের চ্যানেল পরিবর্তনের কী তাড়াহুড়ো!
মানুষ কত শোক নিয়ে বেঁচে আছে!
এই একটা ব্যাপারেই সম্ভবত সবাইকে এক সুতোয় বেঁধে ফেলা যায়।
পাড়ার মাঠে খেলতে খেলতে,
বা,
বইয়ের ঢুবে থাকতে থাকতে,
হঠাৎ কাউকে ভাল লেগে যায়, সময় নাই, বয়স নাই, গোত্র নাই, ধর্ম নাই, সমাজ নাই!
কিছু মানুষ আবার এমন,
তারা অগুছালো জীবনে এসে,
গুছিয়ে দেয়, ভালবাসা শিখায়, ভালবাসতে শিখায়,
তারপর হঠাৎ করেই নাই হয়ে যায়!
বাকি জীবন তাদের খুঁজে খুঁজেই চলে যায়।।
কী তীব্র শোক নিয়ে কিছু মানুষ বাঁচে,
দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে হাসে!
তারপর বেসুরো গলায়,
মাথাভর্তি স্মৃতির ঝড় তুলে, গলায় স্বর তুলে,'বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে...'
তাদের চোখ কতকিছু বলে,
যদি না থাকা মানুষগুলো তার কয়েক ছটাক হলেও বুঝতো!
No comments