সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন। কূটনৈতিকরা রিসিভিং দেশে সকল ধরনের দায়মু...
সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পেটানোর হুমকি দিয়েছেন।
কূটনৈতিকরা রিসিভিং দেশে সকল ধরনের দায়মুক্তি পান। এটা ভিয়েন কনভেনশন ১৯৬১ অনুসারে ঠিক করা।
দায়মুক্তির মধ্যে রয়েছে -
- কূটনৈতিক ব্যাগ তল্লাশি করা যাবে না। বাসভবনও
- আদালতে সাক্ষ্য দিতে হবে না।
- কোন অপরাধে জড়িয়ে গেলেও (হত্যা, চোরাচালান ইত্যাদি) কোন বিচার গ্রেপ্তার করা যাবে না
- আয়ের কোন ট্যাক্স ভ্যাট কাটা যাবে না
- পরিবারের সবার জন্যেই এই নিয়ম খাটবে
- অন্যান্য
মনে হয় সেই ব্যক্তি কোন ধরণের জ্ঞান ছাড়াই,
বাংলাদেশ আমেরিকার সম্পর্ক সম্পর্কে না জেনেই আবেগ তাড়িত হয়ে কথাটা বলে ফেলেছেন।
এতে সরকারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। এবং বাংলাদেশ কখনোই এই ধরনের বক্তব্যকে সাপোর্ট করে না।
বরং সম্প্রতি রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ আমেরিকার সম্পর্কে কিছুটা মেঘ জমলেও আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর ও প্রয়োজনীয়।
দেশ হিসেবে একক রপ্তানির সবচেয়ে বেশি হয় আমেরিকায়,FDI, Remittance সহ সব কিছুই আমেরিকা থেকেই পায়,হাজার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক আমেরিকায় পড়াশোনা ও গবেষণা করছে,এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যু সহ নানান ইস্যুতে যেখানে ভারত, চীন, রাশিয়া বাংলাদেশের বিপক্ষে সেখানে আমেরিকা পক্ষে।
মূলত আমেরিকাকে পছন্দ করা হোক বা না হোক,
তার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
তাই বাংলাদেশ সরকার নানান ভাবে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। যেমন G20 তে বাংলাদেশ এপ্রোচ করে আমেরিকাকে।
দেখুন একটা দেশের সাথে আরেকটা দেশের নানান ধরনের সম্পর্ক থাকে। রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি।
সবগুলো আলাদা আলাদাভাবে দেখতে হয়।
যেমন চীন আমেরিকা দক্ষিন চীন সাগরে প্রায় প্রতিদিনই মুখোমুখি হয়, বিমান কাছে চপে আসে কত কি!
কিন্তু আবার তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঠিকই একসাথে এগুচ্ছে।
তেমনি রাজনৈতিক ভাবে আমেরিকার সাথে সমস্যা হলেও,
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রায় ৭০% ই আমেরিকা ও ইউরোপ মুখী।
তা ছাড়া আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ঢালাও ভাবে না জেনে এসব বক্তব্য দিলে আদৌতে দেশ ও সরকার উভয়েরই ক্ষতি।
No comments