সম্ভবত শোক করেও সুখ পাওয়া যায়। তবে শোক করতেও সাহসের প্রয়োজন হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট বোধহয় এটাই, আমরা শোক করারও সাহস পাই না। অথচ একট...
সম্ভবত শোক করেও সুখ পাওয়া যায়। তবে শোক করতেও সাহসের প্রয়োজন হয়।
আমাদের সবচেয়ে বড় সংকট বোধহয় এটাই, আমরা শোক করারও সাহস পাই না। অথচ একটুখানি সাহস যোগাড় করা গেলে শোক করারও প্রয়োজন হত না অনেক ক্ষেত্রে।
সবচেয়ে দু:খজনক ব্যাপার হলো,
কিছু মানুষ অন্তত একা একা হলেও শোক করতে পারে না। তাদের তীব্র শোক, তবুও অস্বীকার করে যায় কিংবা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে!
শোক উদযাপন করা উচিত।
একেক মানুষ একেকভাবে শোক উদযাপন করে; কেউ লিখে, কেউ স্মোক করে, কেউ হাত কাটে, কেউ বা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে , কেউ গান শুনে ইত্যাদি।
তবে মানুষ ও শোক ভিত্তিক এসব পরিবর্তন ঘটে।
সবচেয়ে বিশ্রী শোক হল এমন শোক,
যখন আপনি লিখতে পারবেন না, গান শুনে শান্তি পাবেন না, ট্রাভেল করেও দূরে যেতে পারবেন না, আবার ঈশ্বরের কাছেও হাত তুলে কিছু চাইতে পারবেন না! মগজে ঘুরবে কত কী, কিন্তু মুখে বলা যায় না! এমন শোক কারো না হোক!
বেশিরভাগ মানুষের শোক হল 'মানুষ'।
দুনিয়া জুড়ে কত কত মানুষ, অথচ তাও মানুষ না থাকার আক্ষেপ কম বেশির সবারই আছে।
এই মানুষ কেন্দ্রীক শোক প্রতিদিন বাড়ে। সম্ভবত আমরা যেমন দূরে যাবার ভয়ে দূরে চলে যাই, ভাল না বাসার চেষ্টায় ভালবেসে ফেলি; তেমনি ভুলার চেষ্টায় আরো বেশি মগজে আটকে দেই, প্রতিদিন আগের দিনের চেয়ে বেশি!
এই মানুষগুলো, যাদের নিয়ে শোক করে কতশত মানুষের বাকি জীবন কাটে; অন্তত এক জীবন হলেও কিঞ্চিৎ পাশে থাকা উচিত।
তাদের মোটামুটি ভাগ্যবান বলা যায়! অন্য কারী জীবনে তারা কত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়ে আছে!
এই শোকে তারাও কি তবে সুখ পায়?
২২/১১/২০২২
সামহ্যয়ার ইন দ্যি প্লেনেট ।
No comments