জেলেনস্কি একটা ইন্টারেস্টিং কাজ করে চলছেন, একটা সামরিক সংগঠনে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের দেশকে যুদ্ধ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন, এখন মোটামুটি সে যুদ্ধ...
জেলেনস্কি একটা ইন্টারেস্টিং কাজ করে চলছেন,
একটা সামরিক সংগঠনে যোগ দেওয়া নিয়ে নিজের দেশকে যুদ্ধ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন, এখন মোটামুটি সে যুদ্ধকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
অস্ত্র ব্যবসা এবং ভয়ভীতি দেখানোর এই বর্তমান সময়ে, মোটামুটি ভাল একটা এজেন্ডা নিয়ে আগাচ্ছেন সম্ভবত। ইউক্রেন যদি কোনভাবে অখন্ড থেকে যায়, উনি আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকবেন এবং নতুন জাতির পিতাও হয়ে যেতে পারেন।
সাধারণত 'সাধারণ জনগণ' বোকা কিসিমের হয়।
তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত হলেও, অখন্ড ইউক্রেনকেই বিজয় ধরে নিবে, অথচ তারা কখনো ভাববেই না যে স্রেফ NATO তে যোগ দিতে গিয়ে উনি মোটামুটি একটা বিশ্বযুদ্ধ করে দিচ্ছেন এবং ইউক্রেনের অসংখ্য জায়গা মাটিতেই মিশে যাচ্ছে।
যুদ্ধ অনৈতিক কিনা এটা নিয়ে বিতর্ক আছে, এই যুদ্ধের ফল কি হবে এটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে, পর্যালোচনা হচ্ছে।
অথচ, আলোচনা হওয়া উচিত ছিল এই যুদ্ধ শুরু হওয়া উচিত ছিল কিনা, কীভাবে এড়ানো যেত। ডিপ্লোমেসি অস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী।
এখন ইউক্রেনের ইস্যু নিয়ে বড় বড় অস্ত্র বিক্রেতা, তেল বিক্রেতা দেশ গুলো লাভের অংক কষছে।
অথচ সেই লাভের টাকায় কিছু তাবু কিনে পাঠানোর চেয়ে ভাল হত লাভ বাদ দিয়ে যুদ্ধ শুরু হতে না দেওয়া।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি পেট্রোনাইজড করছে আমেরিকা, কিন্তু সে আমেরিকার মাটিতে একটা বোমাও পড়বে না, একজন নাগরিকও হতাহত হবে না, অথচ আমেরিকার বন্ধু ইউক্রেন প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এইজন্যেই, শত্রুতা করার চেয়ে বন্ধুত্ব করার সময় বেশি ভাবা উচিত।
সে যাক, যুদ্ধ বন্ধ হবে কি না, দোষ ইউক্রেনের নাকি রাশিয়ার, রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ, আমেরিকার দায় এসব ভাবার পাশাপাশি, NATO এর মত এক্সট্রিম মিলিটারি সংগঠন গুলো থাকা উচিত কিনা এটাও আলোচনার বিষয় হতে পারে। যেহেতু এখন প্রায় অনেক দেশই সামরিকভাবে শক্তিশালী, পারমাণবিক অস্ত্রও আছে তাদের।
আগে জোট করত গরীব মেহনতী মানুষ বা দেশ, যাতে নিজেরা বাঁচতে পারে,
এখন জোট বেঁধে বসে থাকে ধনী, শোষক ও অস্ত্রবাজ দেশ গুলা যাতে নির্বিঘ্নে শোষণ করতে পারে।
কি এক দুর্বিষহ প্রেমহীন সামরিক সময় বইছে!
No comments